বাংলাদেশে অপরাধের প্রকৃতি দিন দিন বেড়ে চলেছে, যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করছে। ছিনতাই, ডাকাতি, খুন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, এবং এসব অপরাধ প্রকাশ্যে এবং জনাকীর্ণ এলাকায় ঘটছে। বর্তমানে, দেশজুড়ে "ডেভিল হান্ট" কর্মসূচি চললেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষত, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতি বিরাজ করছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। রাজধানীর প্রধান সড়ক এবং অলিগলিতে যৌথ বাহিনী টহল শুরু করবে এবং পুলিশ চেকপোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় অপরাধীদের দমন করার জন্য পুলিশ এবং বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হবে। সম্প্রতি রাজধানীর বনশ্রী এবং মোহাম্মদপুরে কয়েকটি ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এর মধ্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন অপরাধের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করেছে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তাকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঘটে যাওয়া অপরাধের তুলনায় জানুয়ারিতে অপরাধের সংখ্যা বাড়ার চিত্র দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামাজিক অস্থিরতা এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অভাব অপরাধের প্রকৃতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে। তাদের মতে, এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করতে আরও নজরদারি এবং মনিটরিং প্রয়োজন, এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।